বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়

বখতিয়ার খিলজী বাংলার মাটিতে সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম নিয়ে আসেন। তিনি ছিলেন মুসলমানদের অবিসংবাদিত এক বীর। তাই তার জীবনী সম্পর্কে প্রত্যেকটা মুসলমানের অবগত থাকা দরকার। তার কারণে বাংলার মানুষ মাথায় টুপি পড়তে পেরেছে। তার জন্য বাংলার মাটিতে শান্তির ধর্ম ইসলাম সফলভাবে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বাংলার মাটিতে ইসলাম প্রচারের ধারক ও বাহক।

ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির পরিচয়

বখতিয়ার খলজী বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠা করেন। তুর্কি জাতির খলজি গোষ্ঠীভূত তিনি আফগানিস্তানের অধিবাসী ছিলেন। তার বাল্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। জীবনের প্রথম দিকে তিনি কর্মহীন ছিলেন। তাই তিনি ১১৯৫ খ্রিস্টাব্দে গজনীতে গমন করেন। 

সেখানে তিনি মোহাম্মদ ঘুরির সেনাবাহিনীতে যোগদানের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন। এরপর তিনি দিল্লিতে আগমন করেন, কুতুব উদ্দিন আইবেগের দরবারে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীতে চাকুরী প্রার্থনা করেন। কিন্তু তিনি দেখতে কুৎসিত ছিলেন বলে তাকে কুতুবুদ্দিন আইবেগের দরবারে লাঞ্ছিত হতে হয়। তিনি এরূপ ব্যর্থতাই লাঞ্ছিত না হয়ে বদাউনের শাসনকর্তা মালিক হিজবর উদ্দিনের নিকট গমন করে চাকরির আবেদন করেন।

মালিক তাকে অতি সামান্য বেতনে একজন সৈনিক হিসেবে নিয়োগ দান করেন। দুঃসাহসী বখতিয়ার চাকুরি ছেড়ে বদায়ন থেকে ফিরে আসেন, অযোধ্যার শাসনকর্তা হসামুদ্দিনের অধীনে। সেখানে তিনি ভগবত ও ভিউলা নামক দুটি জায়গা লাভ করেন, সেখানকার শাসকের কাছ থেকে। এখানে তিনি তুর্কি ও খলজি বংশজাত লোকদের নিয়ে সেনাবাহিনী গঠন করতে থাকেন। সেখান থেকেই মূলত বখতিয়ারের বাংলা জয়ের স্বপ্ন শুরু হয়।

বখতিয়ার খলজির বিহার আভিযান

হসামউদ্দিন এর জায়গীরদার হিসেবে নিজের অবস্থান শক্ত করতে থাকে বখতিয়ার খলজী। এমতোবস্থায় চারিদিকে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন। তিনি আরো তুর্কি ও খলজি বকশীভূত সেনাদের জড়ো করতে শুরু করেন তার বাহিনীতে। এরকমভাবে বাহিনী বড় করতে করতে তিনি বিশাল এক সেনাবাহিনী তৈরি করে ফেলেন।

যার কারণে কুতুব উদ্দিন আইবেগের দরবারে তার সুনাম চলে যায়। তিনিও দেরি না করে কুতুব উদ্দিন আইবেগের বষ্যতা স্বীকার করে নেন। যার কারণে তিনি দিল্লি অধিপতির সুনজরে পড়ে যান। এরকম অবস্থায় যদি তিনি আইবেগের কাছে কোন সাহায্য চাইলে, দিল্লি থেকে তাকে সাহায্য করা হবে বলে তিনি বিশ্বাস করতেন।

এরকম সৎ সাহস বুকে নিয়ে তিনি সর্বপ্রথম পূর্ব ভারতের বিহারে অভিযান চালিয়ে তা দখল করেন। বিহারের ওদন্তপুরী বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা জ্ঞান চর্চা করতো, ফলে অনেকটা বিনা বাঁধায় তিনি তা অধিকার করেন। এ সময় থেকে মুসলমানদের নিকট স্থানটি বিহার বা বিহার শরীফ নামে পরিচিত লাভ করে। তিনি এই অঞ্চলের শাসনভার পেয়ে বিশাল একটি খলজি বাহিনী গঠন করেন।

বখতিয়ার খলজির নদিয়া অভিযান












এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জোবায়ের ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url