বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

 বর্তমান সময় আর্টিকেল রাইটিং খুবই জনপ্রিয় একটি সেক্টর। অনেকে আর্টিকেল লেখা কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। কেউ নিজের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখে, নিজের ওয়েবসাইট থেকেই ইনকাম করছে আবার কেউ মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ খুঁজে নিয়ে অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে তার বিনিময়ে প্রচুর ইনকাম করছে।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ  বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

টপিক নির্বাচন করা

বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমে আমাদের একটি ভালো টপিক নির্বাচন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সেই টপিকে যেন মানুষের চাহিদা থাকে। বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে টপিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কারণ যেটা আমাদের আর্টিকেলের টপিক হবে, সেটা লিখে যদি মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে, তাহলে সরাসরি আমাদের ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে চলে আসবে।

তাই বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে, অবশ্যই টপিকে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে মানুষ কি লিখে গুগলে বেশি সার্চ করে। আবার দেখতে হবে কোন বিষয়ে মানুষ কম লেখালেখি করেছে। এরকম একটি টপিক খুঁজে বের করতে হবে।

তারপর সেই টপিকের উপর ভালোমতো রিসার্চ করে, আমাদের আর্টিকেল লিখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত কম্পিটিশন থাকলে সেই টপিক নিয়ে লেখালেখি করা যাবে না। কারণ সেই টপিক গুগলের প্রথম পেজে আসতে অনেক সময় লাগতে পারে।

শিরোনাম দেওয়া

বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। মনে রাখবেন শিরোনাম অর্থাৎ টাইটেল সেটা কনটেন্টের জন্য কয়েকটি কাজ করে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পাঠকের প্রথম নজর পরে শিরোনামের দিকে।

যদি শিরোনাম পাঠকের পছন্দ হয়, তবেই পাঠক পুরো কনটেন্ট করতে আগ্রহী হয়। তাই বুঝতেই পারছেন যে বাংলা কন্টেন্টের জন্য শিরোনাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

তাই আমাদের পোস্টটি যদি, ভালো ভিজিটর পেতে চাই তাহলে অবশ্যই ভালো মানের একটি শিরোনাম বা টাইটেল দিতে হবে। শিরোনাম বলতে পারেন আর্টিকেলের প্রাণ।

ভূমিকা বাটন যুক্ত করা

বাংলা আর্টিকালের জন্য ভূমিকা বাটন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি পাঠককে প্রথমেই বুঝিয়ে দেই যে, আপনি প্রফেশনাল মানের।

পাঠক আপনার পোস্টটি পড়তে বিশ্বাস পায়। যে হয়তো সে এই পোস্ট থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবে। ভূমিকা বাটনের কারণে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।

তাই আপনি প্রফেশনাল মানের হতে চাইলে অবশ্যই আপনার পোস্টে একটি ভূমিকা বাটন যুক্ত করা উচিত। পোস্টে ভূমিকা বাটন যুক্ত থাকলে পোস্টটি দেখতে প্রফেশনাল মানের লাগে। সর্বোপরি বলা যায় ভূমিকা বাটন পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

ভাষা ও স্টাইল মার্জিত করা

বাংলা কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য ভাষা ও স্টাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই ভাষা ও স্টাইল পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই ভালো মানের কনটেন্ট বানাতে গেলে অবশ্যই ভাষা ও স্টাইলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে আমাদের কনটেন্ট বা আর্টিকেল আরো প্রফেশনাল মানের হবে।

একজন পাঠকের বোধগম্যতা নির্ভর করে আপনার কন্টেন্টের ভাষার উপর। আমাদের কন্টেন্টের লক্ষ্য থাকে পাঠক যেন সহজে বুঝতে পারে। কঠিন বাক্য বা সাধু ভাষা ব্যবহার করলে পাঠক পোস্ট পড়ে বুঝতে পারেনা। তাই পাঠক যেন সহজে বুঝতে পারে সেজন্য সহজ ভাষা ব্যবহার করা উত্তম।

সহজ ভাবে বলতে গেলে, ভালো ভাষা পাঠককে বুঝাতে সাহায্য করে আর ভালো স্টাইল পাঠককে পোস্টটি পড়তে উৎসাহ জাগায়। তাই বাংলা আর্টিকেলের ক্ষেত্রে ভাষা ও স্টাইল খুবই জরুরী। তাই আমাদের ভালো মানের কনটেন্ট তৈরির জন্য সহজ সরল ভাষা ব্যবহার করতে হবে। যাতে সহজে পাঠক বুঝতে পারে। খুবই ভালো মানের স্টাইল ব্যবহার করতে হবে যেন পাঠক আকর্ষিত হয়।

বানান শুদ্ধ করে লেখা

বাংলা  কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে শুদ্ধ বানান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শুদ্ধ বানানের ফলে পাঠক বিশ্বস্ত হয়। পাঠক বুঝতে পারে এই পোস্টটি কোন প্রফেশনাল মানের কনটেন্ট রাইটার লিখেছে। তাই সে পোস্টটি পড়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত থাকে। পাঠক বুঝতে পারে পোস্টটি পড়লে, সে এই পোস্ট থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবে। যার কারনে পোস্ট পুরোপুরি পাঠক পড়ে । ফলে ওয়েবসাইটে বেশিক্ষন পাঠককে থাকতে হয়। আর ওয়েবসাইট যে বেশিক্ষন পাঠক থাকলে ওয়েবসাইটের রিচ বাড়ে। তাই শুদ্ধ বানান খুবই গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে।

শুদ্ধ বানান একটি কন্টেন্টকে অনেক উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যায়। কনটেন্টের মান অনেক উন্নত করে। বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। পাঠযোগ্যতা উন্নত করে। ফলে পোস্টটি হয়ে ওঠে পাঠকের উৎসাহের কেন্দ্র।

সর্বোপরি বলা যায় শুদ্ধ বানান পাঠকের আস্থা। শুদ্ধ বানানের ফলে কনটেন্ট মানসম্পন্ন হয়। শুদ্ধ বানানের ফলে এসিও করতে অনেক সুবিধা হয়। যার কারণে কনটেন্ট দ্রুত গুগলের প্রথম পেজে রাঙ্ক করে।


এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখা

প্রথমত আমরা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে কন্টেন্ট লিখব কেন? কারন সেখান থেকে আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী ইনকামের সোর্স তৈরি করতে হবে। এই দীর্ঘমেয়াদি ইনকামের সোর্স তৈরি করার জন্য এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখা খুবই জরুরী। এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট খুব সহজভাবে সাজানো থাকে। যার কারণে পাঠকের এটি পড়তে খুব অসুবিধা হয়। যা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টেকনিক।

আমাদের ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখা। এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখলে ওয়েব সাইটে ভিজিটর আসে বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন ছাড়া। যার কারণে আমরা দীর্ঘমেয়াদি লাভবান হই। তাই ব্লগ ওয়েব সাইটের জন্য এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট খুবই দরকারি।

এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট আমাদের ওয়েবসাইটে বেশি বেশি পোস্ট করলে গুগলের র‍্যাংক পাওয়া যায়। বেশি বেশি গুগলের র‍্যাঙ্ক মানে, বেশি বেশি কনটেন্ট গুগলের প্রথম পেজে আসা। বেশি বেশি কনটেন্ট গুগলের প্রথম পেজে আসলে বেশি বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে। বেশি বেশি ভিজিটর পেলে আমাদের ইনকাম হবে প্রচুর। যা আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট খুবই দরকারি। 

লেখকের মন্তব্য

আর্টিকেল রাইটিং খুবই ভালো একটি স্কিল। এই স্কিল শেখার পর এটি ব্যবহার করে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। কেউ নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেই ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখছে আবার কেউ মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে আর্টিকেল লিখে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

বর্তমান সময়ে আর্টিকেল রাইটিং একটি ডিমান্ডেবল স্কিল। আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং শেখেন তাহলে আপনি পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিরাপদ। এটি শেখার জন্য খুব বেশি সময় প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসে সাত থেকে আট দিন সময় দিলে আর্টিকেল রাইটিং বেসিক শিখা সম্ভব।

আর আপনি যদি প্রফেশনাল মানের একজন আর্টিকেল রাইটার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এক থেকে দেড় মাস সময় ব্যয় করতে হবে এই সেক্টরে। তাহলে আপনি হয়ে যেতে পারবেন একজন প্রফেশনাল মানের আর্টিকেল রাইটার।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জোবায়ের ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url