কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায়
কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায় জানা খুবই জরুরী বর্তমান সময়ে। বর্তমান জামানার
সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আপনার যে স্কিলটি প্রয়োজন তা হলো কম্পিউটার চালানো
জানা। বর্তমান সময়ের স্মার্ট মানুষদের কম্পিউটারের জ্ঞান ছাড়া কোথাও ঠাঁই নেই।
তাই আজকে আমরা জানবো, কিভাবে কম্পিউটার শেখার বেসিক নিয়ম জানা যায়?
পোষ্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায়
- কম্পিউটারের বেসিক কি
- কম্পিউটারের বেসিক শিখতে কি কি লাগবে
- কম্পিউটারের বেসিক কোথায় শিখবেন
- কোন স্কিল গুলো আগে শেখা উচিত
- কম্পিউটারের বেসিক শেখার ধাপ
- কতদিনে কম্পিউটার শেখা যায়
- কম্পিউটারের বেসিক শেখার সেরা রিসোর্স
- বেসিক কম্পিউটার স্কিল দিয়ে যে কাজগুলো করা যায়
- কম্পিউটার শেখার সময় সাধারন ভূল ও সমাধান
- লেখকের মন্তব্য
কম্পিউটারের বেসিক কি
কম্পিউটারের বেসিক বলতে মূলত কম্পিউটার ব্যবহারের প্রাথমিক জ্ঞান ও দক্ষতাকে
বুঝায়। একটি কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে, কিভাবে চালু বন্ধ করতে হয়, বিভিন্ন
সফটওয়্যার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, কিভাবে ইন্টারনেট কানেক্ট করতে হয় এসব
মৌলিক বিষয়ই শেখাই হল কম্পিউটারের বেসিক। বর্তমান সময়ে একজন মানুষের কম্পিউটার
সম্পর্কে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দুনিয়া আপডেট
হচ্ছে। বর্তমান সময়ে চাকরি থেকে শুরু করে অফিস আদালতেও কম্পিউটার ব্যবহার হয়।
তাই সাধারণ মানুষদের কম্পিউটার শেখা খুবই জরুরী।
বর্তমান জামানায় মানুষ বিভিন্ন কারণে কম্পিউটার শেখে। তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি
কারণ হলো, বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের জ্ঞান না থাকলে যেকোনো ধরনের চাকরির সুযোগ
থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। বর্তমান সময়ে, আমরা যদি একটি মুদিখানার দোকানও দেই
তাহলেও কম্পিউটারে বেসিক স্কিল শেখাটা খুবই জরুরী। কারণ হিসাব রাখতে কম্পিউটার
আমাদের সাহায্য করবে। এটাতো ছিল ছোট্ট একটা উদাহরণ। বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের
বেসিক শেখার উপায় জানাটা অত্যাবশকীয়।
কম্পিউটারের বেসিক শিখতে কি কি লাগবে
কম্পিউটারের বেসিক স্কিল শেখার উপায় জানার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের
প্রয়োজন হয়। এই জিনিসগুলো থাকলে আপনার কম্পিউটারের বেসিক স্কিল জানাটা অনেক সহজ
হয়ে যায়। কম্পিউটারের বেসিক শিখতে বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না। কম্পিউটারের
বেসিক স্কিল জানার জন্য আপনার প্রথমেই যেটি প্রয়োজন হবে, সেটি হলো একটি
কম্পিউটার। কারণ কম্পিউটার না থাকলে, আপনি কম্পিউটারের স্কিল শিখবেন কেমনে।
তারপর কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায় জানার জন্য দ্বিতীয় যে জিনিসটি লাগবে, সেটি
হলো ইন্টারনেট সংযোগ। কারণ ইউটিউব, অনলাইন কোর্স, ও গুগল থেকে রিসর্জ করার জন্য
ইন্টারনেট সংযোগ জরুরী। কম্পিউটার বেসিক শেখার উপায় জানার জন্য তৃতীয় যে
মাধ্যমটি প্রয়োজন সেটি হলো, একটি অপারেটিং সিস্টেম ধারণা। যেমন উইন্ডোজ কিভাবে
চালাতে হয়? তারপরে প্রয়োজন টাইপিং স্কিল শেখার আগ্রহ। বাংলা ও ইংরেজি টাইপ করার
অনুশীলন। বেসিক ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা। কারণ অনলাইনে বেশিরভাগ টার্ম ইংরেজিতে থাকে।
ভালো একজন শিক্ষকের প্রয়োজন। অথবা আপনি কোর্স, বই বা টিউটোরিয়াল থেকে শিখতে
পারেন। কম্পিউটার বেসিক শেখার উপায় জানার জন্য আপনি সর্বশেষ যেটা করতে পারেন
সেটি হলো, অনুশীলন করার মানসিকতা। আপনাকে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অনুশীলন করতে
হবে।
কম্পিউটারের বেসিক কোথায় শিখবেন
কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায় জানার জন্য অনেক জায়গা আছে, অনলাইন ও অফলাইন দুই
ভাবেই শেখা যায়। তবে আজকে আমরা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো, কিভাবে খুব সহজ থেকে
সহজতরভাবে এটি রপ্ত করা যায়। কম্পিউটারের বেসিক নিয়ম শেখার প্রথম উপায় যেটি
রয়েছে সেটি হলো, অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কোর্স করা। আপনি ইউটিউবে অসংখ্য
টিউটোরিয়াল ভিডিও পেয়ে যাবেন। বাংলা ভাষায় প্রচুর ফ্রী কোর্স রয়েছে। আবার
অনেক পেইড কোর্স রয়েছে। তবে আপনি প্রথম অবস্থায় ফ্রী টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো
ভালো করে দেখলেই হবে। আপনার বেশি বেশি বাংলা টেক ব্লক দেখতে হবে যাতে ধারণা
পাওয়া পেতে পারেন। তারপর ধাপে ধাপে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন।
কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায় জানার জন্য, আপনার দ্বিতীয় উপায়টি হলো অফলাইন
কোর্স অর্থাৎ হাতে-কলমে শিক্ষা। আপনার এলাকার আশেপাশে যদি, কোন কম্পিউটার ট্রেনিং
সেন্টার থাকে সেখান থেকে আপনি কোর্স করতে পারেন। এটি সবথেকে সুন্দর ও জনপ্রিয়
প্রক্রিয়া। এতে করে আপনার একজন গাইডলাইন দেওয়ার লোক থাকে। যার ফলে আপনি, খুব
তাড়াতাড়ি এটি রপ্ত করতে পারেন। তাছাড়া সরকারি বিভিন্ন টেকনিক্যাল কলেজ ও স্কুল
রয়েছে যেগুলোতে ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে পরামর্শ হলো, দ্রুত এই
স্কিলটি রপ্ত করার জন্য, অফলাইনে কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আপনার প্রশিক্ষণ নেওয়া
উচিত।
কোন স্কিল গুলো আগে শেখা উচিত
কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায় জানার ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে কোন স্কিলগুলো আগে
শিখবেন এটা জানা খুব জরুরী। প্রথম ধাপে আপনি যেটি করতে পারেন সেটি হলো, কম্পিউটার
কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটি শিখতে পারেন। যেমন কম্পিউটার চালু করা ও বন্ধ করা,
মাউস ও কিবোর্ড কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটি জানা, ডেক্সটপ টাসবার ও স্টাট মেনু
কি সেগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা। কম্পিউটারের ভেতরের মাদারবোর্ড, র্যামরুম
ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখা। সেগুলোর কাজ কি সে সম্পর্কে ধারণা রাখা। মনে
রাখবেন, কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায় জানার জন্য আপনাকে একবারে শুরু থেকে জানতে
হবে। কারণ আগে ভিত শক্ত করলে পরবর্তীতে আর কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
কম্পিউটার বেসিক স্কিল শেখার জন্য দ্বিতীয় যে ধাপটি রয়েছে সেটি হলো, ফাইল
ম্যানেজমেন্ট জানা। ফোল্ডার তৈরি করা, রিনেম করা ও কপি পেস্ট করা জানতে হবে।
আপনাকে পেনড্রাইভের ব্যবহার জানতে হবে। পেনড্রাইভের কাজ কি সেটা জানতে হবে। ফাইল
এক্সটেনশন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তৃতীয়তো আপনাকে ইন্টারনেটের বেসিক ধারণা
সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। চতুর্থ ধাপে আপনাকে টাইপিং স্কিল দ্রুত বাড়াতে হবে।
বাংলা প্লাস ইংরেজি দুই ভাষাতে সমান পারদর্শী হতে হবে। শুরুতে কিছুটা সময় লাগতে
পারে তবে ধৈর্য হারানো যাবে না। তারপরে আপনাকে এম এস ওয়ার্ড সম্পর্কে কিছু ধারনা
রাখতে হবে যেমন ডকুমেন্টেশন তৈরি করা, প্রেজেন্টেশন তৈরি ইত্যাদি। তারপরে আপনার
যে জিনিসটি সর্বশেষ জানা উচিত সেটি হলো ডিজিটাল কমিউনিকেশন স্কিল অর্থাৎ সোশ্যাল
মিডিয়া ব্যবহার সম্পর্কে। কিভাবে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন ফাইল শেয়ার করবেন
সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
কম্পিউটারের বেসিক শেখার ধাপ
আমরা নতুন অবস্থায় কম্পিউটারের বেসিক স্কিল শিখতে গেলে, আমাদের অনেক ধরনের
প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আমাদের ধাপে ধাপে পা ফেলতে হবে, যেন আমরা
সঠিকভাবে স্কিলটি রপ্ত করতে পারি। এই স্কিল রপ্ত করতে যেন কোন ধরনের বাধার
সম্মুখীন হতে না হয়। তার জন্য আমদের স্টেপ বাই স্টেপ এগোতে হবে। আমাদের তত্ত্ব
কম শিখতে হবে, প্র্যাকটিক্যাল নিয়মের দিকে বেশি ফোকাস করতে হবে। আমাদের খুব
সাবধানে এগোতে হবে যেন আমরা, একটি ধাপ ভালো করে না শিখে পরবর্তী ধাপে না যাই।
যেকোনো একটি ধাপ শেষ করার পর, সেই ধাপের উপর প্রচুর পরিমাণে প্র্যাকটিস করতে হবে।
তাহলে আমাদের দীর্ঘদিন সেটা মনে থাকবে।
দীর্ঘদিন মনে রাখার জন্য বারবার যেমন প্র্যাকটিস করা দরকার তেমনি সে ধাপের
স্কিলটি মনোযোগ সহকারে শেখা দরকার। বিশেষ করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কাজগুলো
আমাদের দীর্ঘদিন মনে থাকে না। তাই যেই ধাপগুলো বেশি কঠিন সেগুলোতে বেশি পরিমাণ
সময় ইনভেস্ট করতে হবে। আরো একটি কার্যকরী ধাপ হলো টাইপিং স্কিলের ধাপ। আমরা
টাইপিং শেখার পর, দীর্ঘদিন যদি টাইপিং না করি তাহলে আমাদের সেই স্কিলটি ধীরে ধীরে
স্লো হতে থাকে। তাই টাইপিং এর দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। নিয়মিত টাইপিং করতে
হবে। তাহলে ধাপে ধাপে আমরা উন্নতি করতে পারব।
কতদিনে কম্পিউটার শেখা যায়
কম্পিউটার শিখতে আপনার কতদিন সময় লাগবে তা নির্ভর কয়েকটি বিষয়ের উপর। আপনার
ব্রেন কোয়ালিটি কেমন, আপনি দিনে কত ঘন্টা সময় দিবেন, আপনি কোন লেভেল পর্যন্ত
শিখতে আগ্রহী ইত্যাদি বিষয়ের উপর। তবে আজকে আমরা জানবো, একজন নরমাল ব্রেনের
মানুষের বেসিক থেকে এডভান্স পর্যন্ত যেতে কত দিন সময় লাগতে পারে। শুধু বেসিক
ব্যবহার যেমন কম্পিউটার চালু করা ও বন্ধ করা, টাইপিং শেখা, ইন্টারনেট সম্পর্কে
জানা ইত্যাদি বিষয় জানতে একজন নরমাল মানুষের এক থেকে দুই মাস সময় লেগে যায়।
পরবর্তী ধাপে অফিস ম্যানেজমেন্ট এর কাজ যেমন পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল ও ওয়ার্ড
সম্পর্কে জানতে একজন নরমাল মানুষের দুই থেকে তিন মাস লেগে যায়।
অফিসের জব লেবেলের দক্ষতা বিষয়ে দক্ষ হতে একজন মানুষের মোটামুটি তিন থেকে ছয়
মাস সময় লাগে। কারণ এটি মোটামুটি অ্যাডভান্স লেভেল এর কাজ। এই স্কিলে আপনাকে
টাইপিং, ডাটা ম্যানেজমেন্ট ও কমিউনিকেশন স্কিল সম্পর্কে অ্যাডভান্স লেভেলের ধারণা
থাকতে হবে। যার কারণে এই ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ধাপে সময়ও বেশি লাগে। তবে
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, দিনে আমাকে কত ঘন্টা সময় দিতে হবে। দেখুন আপনি দিনে সময়
যত বেশি দেবেন তত তাড়াতাড়ি কাজ শিখতে পারবেন। তবে উপরের প্রেডিকশন অনুযায়ী কাজ
রপ্ত করতে আপনাকে দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হবে।
কম্পিউটারের বেসিক শেখার সেরা রিসোর্স
কম্পিউটার বেসিক শেখার সেরা রিসোর্স সম্পর্কে আমরা এখন ধাপে ধাপে জানবো।
কম্পিউটার বেসিক থেকে অ্যাডভান্স লেভেল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আমাদের যে জিনিসটা
খুবই দরকারি সেটি হলো রিসার্স। কারণ রিসোর্সের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্কিল
গ্রো করতে পারব। তাই বেসিক কম্পিউটার শেখার জন্য রিসার্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ
একটা জিনিস। রিসোর্সের জন্য প্রথমে যে জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল আপনার
ধৈর্য। ধৈর্য ধরে আপনাকে দিনে তিন থেকে চার ঘন্টা রিসোর্স করতে
হবে।
কম্পিউটার কি, অপারেটিং সিস্টেম, ফাইল ও ফোল্ডার ম্যানেজমেন্ট, টাইপিং স্কিল,
ইন্টারনেট বেসিক, অফিস এপ্লিকেশন, কম্পিউটার সিকিউরিটি, অনুশীলনও রিভিউ ইত্যাদি
বিষয়ের উপর আমাদের রিসোর্স করতে হবে। এই কয়েকটি বিষয়ের উপর যদি দিনে তিন
থেকে চার ঘন্টার রিসোর্স করি তাহলে আমরা কয়েক মাসের ভিতরেই অ্যাডভান্স লেভেলে
পৌঁছে যেতে পারবো।
বেসিক কম্পিউটার স্কিল দিয়ে যে কাজগুলো করা যায়
এখন আমরা জানবো, বেসিক কম্পিউটার স্কিল দিয়ে কি কি কাজ করা যায় সে সম্পর্কে।
বেসিক কম্পিউটার স্কিল দিয়ে প্রথমত শিক্ষা ও ব্যক্তিগত কাজ সম্পাদন করা যায়।
যেমন স্কুল ও কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট, রিপোর্ট ও প্রজেক্ট তৈরি করা যায়। নিজের
কম্পিউটারের অডিও ভিডিও ফাইল ম্যানেজ করা যায়। অনলাইনে তথ্য খোঁজা বা গুগল সার্চ
সম্পর্কে জানা যায়। বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং দক্ষতার সাথে করা যায়। অনলাইনে ফরম
ফিলাপ যেমন জব এপ্লাই, এডমিশন ফর্ম ইত্যাদি করা যায়। অনলাইনে ইমেইল পাঠানো ও
গ্রহণ করা যায়।
কম্পিউটারের বেসিক স্কিল রপ্ত করার মাধ্যমে আরো যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করা
যায় সেগুলো হলো, অফিসিয়াল ও ডকুমেন্টেশনের কাজ যেমন এম এস ওয়ার্ড দিয়ে চিঠি ও
রিপোর্ট তৈরি করা, এক্সেল দিয়ে হিসাব নিকাশ ও ডাটা এন্ট্রি করা, পাওয়ারপয়েন্টে
প্রেজেন্টেশন তৈরি, প্রিন্ট স্ক্যান ও পেনড্রাইভ ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়।
অনলাইন ও যোগাযোগ সম্পর্কে জানা যায় যেমন জুম ও গুগল মিট দিয়ে মিটিং করা যায়,
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ে ও অনলাইন ফাইল শেয়ারিং সম্পর্কে জানা
যায়। কম্পিউটার বেসিক স্কিল শেখার মাধ্যমে আরো যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা যায়
সেটি হলো চাকরি ও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। এই স্কিলটি শেখার পর বিভিন্ন
কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের চাকরি করা যায় যেমন ডাটা এন্ট্রি করা, অফিস
এসাইনমেন্ট, কম্পিউটার অপারেটর, কাস্টমার সাপোর্ট জব ইত্যাদি। তাই প্রতিটি
মানুষের জন্য কম্পিউটার বেসিক স্কিল জানাটা খুবই জরুরী।
কম্পিউটার শেখার সময় সাধারন ভূল ও সমাধান
আমরা নতুনরা যারা কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আসি
এবং প্রথম অবস্থায় শেখা শুরু করি তখন সাধারণ কিছু ভুল হয়ে যায়। যার কারণে
আমাদের শেখা ধীর হয়ে যায়। সাধারণ সময়ের থেকে শিখতে বেশি সময় লাগে। নতুনরা
শেখার সময় যে ভুলগুলো করে এখন আমরা সে ভুল সম্পর্কে আলোচনা করব। নতুনদের
কম্পিউটার শেখার সময় প্রথম যে ভুলটি হয় সেটি হলো, শুধু ভিডিও দেখা এবং নোট
নেওয়া। এটি একটি মারাত্মক ভুল। কারণ হাতে কাজ না করলে কখনো আপনার কনফিডেন্স আসবে
না। তাই প্রতিদিন টিউটোরিয়াল এর সাথে আপনাকে প্র্যাকটিসও করতে হবে। দ্বিতীয় যে
ভুলটি আমাদের হয়ে থাকে সেটি হলো অনিয়মিত শেখা। অনিয়মিত শিখলে শেখা,যার কারনে
ভুলে যেতে হয় মোটিভেশন কমে যায়। তাই প্রতিদিন কম করে হলেও ৩০ থেকে ৬০ মিনিট
শেখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার
নতুনরা কম্পিউটার শিখতে গেলে আরও যে একটি ভুল করে সেটি হলো ওয়ার্ড এবং এক্সেল এ
সীমাবদ্ধ থাকে। অন্যান্য বেসিক সম্পর্কে ধারণা না থাকলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে
পারে। তাই ইন্টারনেট, ফাইল ম্যানেজমেন্ট সব বিষয়ে বেসিক ধারণা রাখুন। আরো একটি
মারাত্মক ভুল হলো, ভুল নিয়মে টাইপিং অভ্যাস করা। পরবর্তীতে সেটি ঠিক করতে প্রচুর
সময় লেগে যেতে পারে। তাই শুরু থেকেই সঠিক কিবোর্ড পজিশন রপ্ত করুণ। আবার অনেকে
নতুন কম্পিউটার শিখতে গিয়ে এডভান্স থেকে শুরু করে ফেলে। যার কারণে তার বেসিক
দুর্বল থেকেই যায়। তাই সবার বেসিক থেকে শুরু করা উচিত। এই কয়েকটি উপদেশ মেনে
যদি নতুনরা কম্পিউটার শেখা শুরু করে তাহলে তাদের শুরুর ভুল গুলো আর হবে না। তাই
নতুন যারা কম্পিউটার শিখবেন, প্রত্যেকের এই নিয়মগুলো মেনে কম্পিউটার স্কিল রপ্ত
করা উচিত।
লেখকের মন্তব্য
কম্পিউটারের বেসিক শেখা আজকের দিনে একান্ত প্রয়োজনীয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন
জীবনের কাজকে সহজ করার পাশাপাশি আমাদের চাকরি, পড়াশোনা ও অনলাইনে আয়ের সুযোগও
তৈরি করে দেয়। তবে কম্পিউটার শেখার ক্ষেত্রে ধৈর্য, নিয়মিত প্র্যাকটিস ও ধাপে
ধাপে শেখার প্র্যাকটিস গড়ে তুলতে হবে। একদম বেসিক থেকে শুরু করতে হবে এবং
এডভান্স লেভেলে গিয়ে শেষ করতে হবে। তাহলে আমাদের ভিত একদম মজবুত থাকবে।
টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে এবং ফাইল সংগ্রহ করে নয় আমাদের প্র্যাকটিক্যাল
প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলে আমরা কম্পিউটার প্রশিক্ষনে অ্যাডভান্স হতে
পারবো।
তাই নতুনদের ধৈর্য ধরে ধাপে ধাপে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলে প্রতিটি
ক্ষেত্রে আমাদের বেসিক থেকে অ্যাডভান্স হওয়ার সুযোগটা অনেকটা বেড়ে যাবে।
বর্তমান সময় কম্পিউটার স্কিলের বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে
চলতে গেলে কম্পিউটার স্কিল বাধ্যতামূলক। যারা আজকের এই ব্লগটি মনোযোগ সহকারে
পড়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ তারা কম্পিউটার শেখার আগ্রহ নিয়ে এসেছেন। আর
যারা কম্পিউটার স্কিলের প্রতি মনোযোগী তারাই বর্তমান জামানায় কিছু করতে পারবেন।


জোবায়ের ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url