নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার - বিশ্বাস দক্ষতা ও সফলতার প্রতীক
নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার কে? আমরা যারা নওগাঁ জেলায় বাস করি এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে নিয়োজিত অথবা ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবতেছি, প্রথমেই তাদের মনে একটা প্রশ্ন আসে। সেই প্রশ্নটা হলো, নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার কে? নওগাঁ জেলায় অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তবে আজকে আমরা জানবো, সবচেয়ে সেরা ফ্রিল্যান্সারের সম্পর্কে। তিনি কে, কিভাবে তিনি সেরা ফ্রিল্যান্সার হলেন, তার অভিজ্ঞতা কেমন, ইত্যাদি সম্পর্কে
পোষ্ট সূচিপত্রঃ নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার
- নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সারের নাম
- নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সারে পরিচয়
- কিভাবে নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার হলেন
- কোন কোন মার্কেটপ্লেস থেকে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন
- অল্প সময়ে নিজেকে কিভাবে তার মত গড়ে তুলবেন
- লেখকের মন্তব্য
নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সারের নাম
নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সারের নাম মোঃ জোবায়ের। তিনি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং
এক্সপার্ট। তিনি বিগত সাত বছর ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতার সাথে কাজ করে
আসতেছেন। তিনি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা। তিনি তার এলাকার
অনেককেই ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। নওগাঁ জেলার
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে তার মত এত ভালো রিভিউ অন্য কোন ফ্রিল্যান্সারের নেই। তাই
তাকে নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। তিনি অল্প সময়ে নিজেকে অনেক বড়
মাপের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। যা নওগাঁ জেলার অন্য কোন ফ্রিল্যান্সার
পারেনি।
তিনি গুগল সার্টিফাইড একজন ফ্রিল্যান্সার। নওগাঁ শহরে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে তবে
কয়জন মোঃ জোবায়েরের মত এমন সফল হয়েছে বা কতজন বেকার কে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে
তুলতে পেরেছে। এক কথায় বলতে গেলে নওগাঁর ফ্রিল্যান্সিং জগতে তার অবদান অপরিসীম।
অনেক বেকার তার হাত ধরেই সফলতার সিঁড়িতে উঠতে পেরেছে।
নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সারে পরিচয়
নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সার মোঃ জোবায়ের ২০০৫ সালে নওগাঁ জেলার, তিলেকপুর
ইউনিয়নের, চার নম্বর ওয়ার্ড আদম দুর্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মূলত
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার বাবা একজন চাকুরীজীবী এবং মা একজন গৃহিনী। তিনি
ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখেন ২০১৯ সালের দিকে। তখন তিনি একজন ছাত্র ছিলেন। অনলাইন
জগতের তেমন কিছুই তিনি জানতেন না। তবে পাঁচ ছয় বছরের ব্যবধানে নিজেকে গড়ে
তুলেছেন নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।
মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন ফ্রিল্যান্সিং করে এবং অন্যকে শিখিয়ে। তিনি
একজন ভালো মনের মানুষ। তার বয়সটা খুব কম কিন্তু তিনি তার বাবার বয়সী লোকদেরও
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফলতা এনে দিতে সাহায্য করেছেন। নওগাঁ জেলার অন্যান্য সব
ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে যেরকম কোর্স ফি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখায় মোঃ
জোবায়ের সম্পূর্ণ তার ব্যতিক্রম। তিনি ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর পর খুব কম টাকা
চার্জ করেন। আবার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নয়, এমন অনেক মানুষকে তিনি ফ্রিতে
সার্ভিস দিয়েছেন।
কিভাবে নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার হলেন
নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সার মোঃ জোবায়ের। তিনি কিভাবে সেরা
ফ্রিল্যান্সার হলেন? এমন প্রশ্ন আমাদের সকলের মনে জাগতেই পারে। নওগাঁ জেলায় তো
অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, তাহলে মোঃ জোবায়েরই কেন নওগাঁর সেরা
ফ্রিল্যান্সার? এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। যে তার থেকে ভালো
ফ্রিল্যান্সার তো নওগাঁ জেলায় থাকতেই পারে। তাহলে কিভাবে আপনারা বলছেন তিনিই
নওগার সেরা ফ্রিল্যান্সার।
এই কথা বলার কয়েকটি যুক্তি আছে। চলুন আপনাদেরকে প্রথম থেকে বুঝিয়ে বলি, নওগাঁ
জেলায় যত ফ্রিল্যান্সার আছে তাদের মধ্যে মোঃ জোবায়ের সেরা হওয়ার কারণ হলো,
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেসব মার্কেটপ্লেস রয়েছে, সেসব মার্কেটপ্লেসে তার থেকে
ভালো রিভিউ অন্যকোন ফ্রিল্যান্সারের নেই। এখন প্রশ্ন হলো মার্কেটপ্লেসে ভালো
রিভিউ থাকলেই কি তিনি সেরা ফ্রিল্যান্সার? উত্তরটা হলো না। তাহলে কেন তিনি সারা
ফ্রিল্যান্সার। কারণ নওগাঁ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে উদ্যোক্তা হতে
পেরেছে কয়জন? হ্যাঁ মোঃ জোবায়ের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে অনেক বড় মাপের একজন
উদ্যোক্তা হয়েছেন। তাই তিনি নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সার।
কোন কোন মার্কেটপ্লেস থেকে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন
নওগাঁ জেলার ফ্রিল্যান্সার মোঃ জোবায়ের কোন মার্কেটপ্লেস থেকে প্রথমে কাজ
পেয়েছিলেন? তিনি কেমন করেই বা কাজ পেয়েছিলেন? তিনি এখন তার স্টুডেন্টদের জন্য
কোন কোন মার্কেটপ্লেস সাজেস্ট করেন? তিনি নতুনদের জন্য কোন মার্কেটপ্লেস সাজেস্ট
করেন? চলুন এখন এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক। আমরা আগে জেনেছি তিনি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পা রেখেছিলেন ২০১৯ সালের দিকে। তিনি প্রথমে অনলাইন থেকে
ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিলটি রপ্ত করেন এবং কয়েক মাস পর মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট
তৈরি করেন।
এখন প্রশ্ন হলো তিনি নতুন অবস্থায় কোন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন।
তিনি নতুন অবস্থায় ফাইবার মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করেছিলেন। কয়েকদিন কঠোর
পরিশ্রম করার পর তিনি ফাইবার থেকে প্রথম অর্ডার কমপ্লিট করেন। তাই তিনি নতুন
ফ্রিল্যান্সারদের জন্যও ফাইবার মার্কেটপ্লেস সাজেস্ট করেন। কারণ অন্যান্য
মার্কেটপ্লেস যেগুলো রয়েছে সেগুলোতে বড় বড় কাজ ও লং টাইম রিলেশনশিপ বিল্ড আপ
করতে হয়। যা নতুনদের জন্য অসম্ভব। তাই তিনি নতুনদের জন্য ফাইবার মার্কেটপ্লেস
সাজেস্ট করেন।
অল্প সময়ে নিজেকে কিভাবে তার মত গড়ে তুলবেন
আপনি অল্প সময়ে কিভাবে নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সার মোঃ জোবায়ের এর মত করে নিজেকে
গড়ে তুলবেন। আপনি অল্প সময়ে কিভাবে তার মত বড় মাপের ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন?
চলুন সে সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক। তিনি মূলত প্রথম অবস্থায় একটি
নির্দিষ্ট স্কিলের দিকে ফোকাস করেছেন। তারপর তিনি সেই স্কিল যথাযথভাবে রপ্ত
করেছেন। তারপর তিনি মার্কেটপ্লেসে সুন্দর পোর্টফলিও দিয়ে একাউন্ট তৈরি
করেছেন।
তারপর সব থেকে কঠোর কাজ যেটা তিনি করেছেন,সেটি হলো ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করেছেন।
বায়ারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বায়ারের কাছ থেকে রিভিউ কালেক্ট করেছেন।
বায়ারের সমস্যা ভালোমতো পড়ে, তার স্কিল দিয়ে বায়ারের সমস্যার সমাধান করেছেন।
দিন দিন নিজের স্কিলের উন্নতি করেছেন। তাই আজ তিনি সেরা একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য
আপনারা এতক্ষণ যে ব্লগটি পড়লেন, সে ব্লগটি লিখেছেন নওগাঁ জেলার সফল ফ্রিল্যান্সার মোঃ জোবায়ের। তিনি মূলত বড় বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে সফলতার সাথে
দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তাই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নওগাঁ জেলায় তার সুনাম
রয়েছে।। তিনি অনেক বেকারকে সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে
গড়ে তুলেছেন। এতদিন যারা জানতেন না নওগাঁর সেরা ফ্রিল্যান্সার কে? আজকে এই
ব্লকটি পরার পর থেকে তাদের মনে আর প্রশ্ন থাকবে না।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
এই ব্লগটি যারা পড়তে এসেছেন, তারা হয়তো ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত বিষয়ে জানার
আগ্রহ রাখেন। হতে পারে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উদ্দেশ্যে এই ব্লকটি পড়তে
এসেছেন। তাদের জন্য উপদেশ, সঠিক জায়গায় কোর্স করুন কারণ ফ্রিল্যান্সিং জগৎ থেকে
অনেক কিছু করা সম্ভব। অনেকে আছে টাকার লোভে কোর্স করায়, অথচ নিজেই কোন কিছু
জানেনা। তাদের কাছ থেকে বিরত থাকুন। কারণ তারা আপনার কনফিডেন্স নষ্ট করে দিতে
পারে। যারা ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাদের জন্য শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।


জোবায়ের ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url