নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইন দেওয়া হবে আজকের ব্লগে। আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান? তাহলে আজকের ব্লগটি আপনার জন্য। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শেখার কথা ভাবি, তবে কোথায় থেকে শুরু করব তা আর ভেবে পাইনা। আজকের ব্লগে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইন প্রপারলি দেওয়া হবে।
নতুনদের-জন্য-ফ্রিল্যান্সিং-শুরু-করার-গাইড

পোষ্ট সূচিপত্রঃ নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড

ফ্রিল্যান্সিং কি

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইনের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক হল ফ্রিল্যান্সিং কি? এক কথায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। যারা অন্যের অধীনে কাজ করতে পছন্দ করেন না, নিজের মতো করে, নিজের সময় বের করে, নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করতে যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা।

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন এক ধরনের কাজ যেই কাজের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন অফিস বা স্থায়ী কোন কর্মস্থলে যেতে হবে না, আপনি নিজের স্কিল ব্যবহার করে বিদেশি বায়ারের কাজ মার্কেটপ্লেস থেকে নিয়ে, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ও নিজের সময় মত কাজটি করতে পারবেন, তাই ফ্রিল্যান্সিং। আমাদের দেশে অনেকেই আছে, যাদের ফ্রিল্যান্সিং শেখার খুব ইচ্ছা কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি, সেটা না জানার কারণে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে ভয় পায়। আজকে তাদের জন্য বা নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইন দেওয়া হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব কিভাবে

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইন দিতে গেলে সর্ব প্রথমে যে প্রশ্নের সম্মুখীন আমাদের হতে হয়, তা হলো ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব কিভাবে? এই প্রশ্নের সহজ ব্যাখ্যা জানতে হবে আমাদের আর এই প্রশ্নের সহজ ব্যাখ্যা হলো, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা হলো একটি ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ। অনেকেই আমাদের লোভ দেখানোর জন্য বলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, এই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। মোবাইল দিয়ে কখনো ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। তাই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে প্রথমেই দরকার একটি ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপ।


তারপর আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য যে জিনিসটা বেশি প্রয়োজন হবে সেটা হলো একটা স্কিল। আপনাকে নির্দিষ্ট কোন একটি স্কিল সিলেক্ট করতে হবে। প্রথম এক মাসের মত ইউটিউবে ভিডিও দেখবেন সেই স্কিল সম্পর্কে। পরবর্তীতে একটি ভালো মানের কোর্স করবেন অনলাইন থেকে। তারপর সেই স্কিল প্রপার ভাবে রপ্ত করার পর, আপনাকে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিতে হবে। প্রথমত ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজন একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ। দ্বিতীয়ত প্রয়োজনে একটি স্কিল এবং তৃতীয়ত প্রয়োজন সেই স্কিলের প্রয়োগ।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের সহজ সেক্টর কোনটি

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইন দিতে গেলে আরো যে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, সেটি হলো কোন স্কিল টা শিখলে আমার জন্য ভালো হবে। কোন স্কিল শিখলে আমি পরবর্তী পাঁচ বছর বা ১০ বছর সেভ থাকতে পারবো। মার্কেটপ্লেসে কোন স্কিলের ডিমান্ড বেশি। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো, আপনার কোন স্কিলটা বেশি পছন্দের। কোন স্কিলে আপনি বেশি কমফোর্টেবল ফিল করেন। আপনার জন্য সেই স্কিলটা সাজেস্ট করা হলো। কারণ মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কোন শেষ নেই। এটি হলো একটি সাগর যে সাগরে অসংখ্য কাজ রয়েছে।

তবে বর্তমান ইআই এর যুগে কিছু কিছু স্কিল বাদ দিয়ে আমাদের শিখতে হবে। তবে আমার ওপেনিয়ন থেকে কয়েকটি স্কিলের কথা বলবো, যেগুলো শেখা খুবই সহজ এবং এগুলোতে দ্রুত ইনকাম করা যায়। তার মধ্যে প্রথম যেটার কথা বলবো, সেটা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ডিমান্ডেবল সেক্টর। এই সেক্টর থেকে অনেকেই লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করছে। তবে আপনার যে স্কিলটা ভালো লাগে আপনি সেটাই শিখতে পারেন। আমার সাজেস্ট করা স্কিলটা আপনাকে শিখতে হবে এমন কোন কিছু নয়। আপনি চাইলে শিখতে পারেনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ইচ্ছার উপর। এক কথায় একটা স্কিল হলেই হলো কিন্তু সেই স্কিলের উপর আপনাকে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

নতুনদের জন্য কোন মার্কেটপ্লেস সবচেয়ে বেশি উপযোগী

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইন দিতে গিয়ে আরো যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন আমাদের হতে হয় সেটি হলো, ভাই আপনার কথামতো একটি স্কিল যথাযথভাবে রপ্ত করলাম। এখন আমি এই স্কিলটা প্রয়োগ করবো কোথায় অর্থাৎ আমি কাজ পাব কোথায়? আবার অনেকে আছেন যারা একটু বেশি এসব বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করেন, যার কারণে সরাসরি প্রশ্ন আসে ভাই বা স্যার আমি নতুন হিসেবে কোন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ক্রিয়েট করব?
নতুনদের-জন্য-ফ্রিল্যান্সিং-শুরু-করার-গাইড

আমার ওপেনিয়ন থেকে বললে, আমি বলব আপনারা যারা নতুন তাদের জন্য ফাইবার বেস্ট। এখন যদি বলেন ফাইবারে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করব কিভাবে? তাহলে আপনাদের বলব, ইউটিউবে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন যা দেখে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে পারবেন। তারপর সেখানে নিজের প্রতিভার জানান দিবেন। ভাগ্য ভালো থাকলে খুব তাড়াতাড়ি কাজ পেয়ে যেতে পারেন। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে আপওয়ার্ক বা অন্যান্য মার্কেটপ্লেস দিয়ে। এটা সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। আপওয়ার্ক নতুনদের জন্য নয়। আপওয়ার্কে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে আপওয়ার্ক নতুন ইউজারদের বেশি প্রায়োরিটি দেয় না।

প্রথম বায়ার পাওয়ার কার্যকরী কৌশল

নতুনদের মার্কেটপ্লেসে প্রথম কাজ পাওয়ার কিছু কার্যকরী কৌশল রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজকে। প্রথম কৌশলটি হলো আপনার প্রোফাইল কে সুন্দরভাবে অপটিমাইজ করতে হবে। অর্থাৎ পেশাদার বায়ু লিখতে হবে, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও টুলস উল্লেখ করতে হবে, পেশাদার পোর্টফোলিও যুক্ত করতে হবে, পেশাদার প্রোফাইল পিকচার সেট করতে হবে। কারণ ক্লাইন্ট প্রথমে আপনার প্রোফাইল দেখবে। আপনার প্রোফাইল যদি সুন্দর সাজানো গোছানো থাকে, আপনার স্কিল দুর্বল হলেও, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায।

কাজ পাওয়ার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, সবার জন্য সব কাজ না করে নির্দিষ্ট দুই একটা কাজ করুন। যেমন লঘু ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অথবা কনটেন্ট রাইটিং। কারণ আপনার নিস যদি স্পষ্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে বিশেষজ্ঞ মনে করে। প্রথমে আপনার ছোট কাজ দিয়ে শুরু করা উচিত। এতে কাজটি সঠিকভাবে করতে পারবেন এবং ক্লায়েন্টের রিভিউ পাবেন, আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। যা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কিভাবে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করবেন

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার গাইড লাইন দিতে গেলে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। আর সেই প্রশ্নটি হলো ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে কমিউনিকেশন করবো? ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ক্লায়েন্টের সাথে সুন্দর ও প্রফেশনাল ভাবে যোগাযোগ করা সফলতার বড় চাবিকাঠি। কারণ সঠিকভাবে কথা বলতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করার আগে আপনার প্রোফাইল ভালোভাবে চেক করে নিন। আপনার প্রোফাইলে সুন্দরভাবে লিখে দিন যে আপনি কে, কি কাজ করতে এসেছেন। আপনার প্রোফাইলে তিন চারটি স্কিলের উদাহরণ দিয়ে রাখুন।


কাজে আবেদন করার পূর্বে, ক্লায়েন্টের জব পোস্ট ভালোভাবে পড়ুন। তারপর সুন্দর করে একটি কভার লেটার লিখুন। বায়ার যেন বুঝতে পারে আপনি বায়ারের সমস্যাটা বুঝতে পেরেছেন। কিভার লেটারে বুঝিয়ে লিখুন আপনি আপনার স্কিল দিয়ে কিভাবে বায়ারের সমস্যাটা সমাধান করবেন। তবে হ্যাঁ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, আপনার লেটারটা যেন ছোট হয়, তবে লেটারের ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করুন যেন ক্ল্যান্টের বুঝতে সুবিধা হয়। বায়ারকে প্রশ্ন করবেন কিন্তু চাপ দেবেন না। এভাবে যদি প্রপোজাল লিখতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

আয় বাড়ানোর কৌশল

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শেখার গাইডলাইন দিতে গেলে আরো যে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন আমাদের হতে হয়, সেটি হলো, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে ইনকাম করলাম কিন্তু এই ইনকাম বৃদ্ধি করব কিভাবে? এটি একটি ভালো প্রশ্ন, শুধু আয় করলেই তো হবে না, আয় বাড়াতে স্ট্রাটেজি দরকার। স্মার্ট ভাবে কাজ করলে অল্প সময়ে বেশি উপার্জন করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনার আয় বাড়ানোর জন্য প্রথম সাজেশন হলো, আপনাকে লো কোয়ালিটি স্কিল থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনাকে সব সময় হাই কোয়ালিটি স্কিলের দিকে ফোকাস করতে হবে। 

এখন বলতে পারেন লো কোয়ালিটির স্কিল কোনগুলো এবং হাই কোয়ালিটির স্কিল কোনগুলো? চলুন লো কোয়ালিটির স্কিল দিয়ে শুরু করা যাক। লো কোয়ালিটির স্কিল গুলোর মধ্যে রয়েছে ডাটা এন্ট্রি, কপি-পেস্ট জব, বেসিক লোগো ডিজাইন, বেসিক এসিও ও সিম্পল এডিটিং ইত্যাদি। চলুন এখন হাই কোয়ালিটির স্কিলের তালিকা করা যাক। হাই কোয়ালিটির স্কিল গুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইউ এক্স ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড মশন গ্রাফিক্স, টেকনিক্যাল এসইও ও ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। আপনাদের উচিত যেই হাই কোয়ালিটির স্কিল গুলোর কথা বলা হলো, সেগুলোর মধ্যে একটি রপ্ত করা। তাহলে আপনার ইনকাম দ্রুত বাড়ানো সম্ভব। চলুন এবার ইনকাম বাড়ানোর আরো কয়েকটি প্রসেস সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। ইনকাম বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি নিসে কাজ করুন। আপনার রেট ধীরে ধীরে বাড়ান‌। রিপিট ক্লায়েন্ট তৈরি করুন। ক্রস সেল করুন। আপনার প্রোফাইল ও পোর্টফলিও নিয়মিত আপডেট করুন। আপনার কাজের গতি ও মান উন্নত করুন। মার্কেটিং ও নেটওয়ার্কিং করুন। প্রিমিয়াম কাস্টমার সার্ভিস দিন এবং নতুন নতুন মার্কেটপ্লেসে পা রাখুন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাধারণ ভুল এবং সমাধান

অনেকের ভালো স্কিল থাকা সত্ত্বেও ভুলের কারণে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পায় না। এখন আমরা আলোচনা করব কোন কোন ভুলের কারণে ভালো কাজ জানা সত্ত্বেও, মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়া যায় না। আপনার প্রথম ভুলটি হলো, সব ধরনের কাজ করা। নির্দিষ্ট একটি নিস বেছে নিতে হবে আর সেই স্কিলে প্রফেশনাল হয়ে উঠতে হবে। আপনারা দ্বিতীয় যে ভুলটি করে থাকেন সেটি হলো, কপি-পেস্ট প্রপোজাল পাঠান। জব পোস্ট পড়ে, তাদের সমস্যা অনুযায়ী প্রোপজাল লিখুন এবং বায়ারকে প্রশ্ন করুন। আপনাদের তৃতীয় ভুলটি হলো প্রোফাইল অসম্পূর্ণ রাখা। তাই আপনার প্রোফাইল কে সম্পন্ন করুন এবং পরিষ্কার নিস ও পোর্টফোলিও যুক্ত করুন।
নতুনদের-জন্য-ফ্রিল্যান্সিং-শুরু-করার-গাইড

অনেকেই বলে প্রথম অবস্থায় খুব কম রেটে কাজ করা উচিত। এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ অতিরিক্ত কম বাজেটে কাজ করলে ক্লাইন্ট আপনাকে নিম্নমানের ফ্রিল্যান্সার ভাবতে পারে। তাই বাজেট রেড অনুযায়ী চার্জ করুন। এক্সপেরিয়েন্স বাড়ার সাথে সাথে রেট বৃদ্ধি করুন। ক্লায়েন্টের মেসেজের রিপ্লাই দ্রুত দিন। আরো একটি বড় ভুল হলো কাজের শেষে ক্লায়েন্টের সাথে আর সম্পর্ক না রাখা। এটি মারাত্মক একটি ভুল। তাই কাজের শেষে ক্লায়েন্টের সাথে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করুন। এই ভুলগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে আপনি একজন সফল ও ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।

সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার নিয়ম

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শেখার গাইডলাইন দিতে গেলে আরো একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আর সেই প্রশ্নটি হলো সফল ফ্রিল্যান্সার হবো কিভাবে? দেখুন ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর দক্ষতা, ধৈর্য, সঠিক পরিকল্পনা ও প্রফেশনাল আচরণ। এই কয়েকটি গুণ যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। 


আপনি নির্দিষ্ট একটি স্কিলের উপর পারদর্শী হোন। প্রফেশনাল ভাবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান। ক্লায়েন্টের সমস্যা বুঝে সমাধান দিন। সময় মত কাজ ডেলিভারি দিন। ফিডব্যাক ও রিভিউ সংগ্রহ করুন। সর্বদা স্কিল আপডেট রাখুন। রিপিট ক্লায়েন্ট ধরে রাখুন। একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করুন। ধৈর্য ও পরিশ্রম করুন। সর্বশেষ আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস রাখুন। এই কয়েকটি গুণ যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। 

লেখকের মন্তব্য

যারা এই পোস্টটি পড়া শুরু করেছেন, তারা এখানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য এসেছেন। যদি এখানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উদ্দেশ্যে আপনি এসে থাকেন, তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়। আমার পোস্টটি পড়ুন এবং পড়ার পর ভালো বিশ্বস্ত কোন জায়গায় কোর্স করুন এবং ইনকাম শুরু করুন। 

কোর্স করার কথা এজন্য আপনাকে বলা হলো, কারণ হাতে-কলমে শিক্ষা ছাড়া ব্লগ পোস্ট পড়ে প্রপার ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ, ব্লক পোস্ট না পড়লে কখনোই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। আপনাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে, ছোট ছোট প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে অবশ্যই ব্লক পোস্ট পরতে হবে। আর আমারে ব্লক পোস্টটি সেই লোকদের জন্য যারা ফ্রিল্যান্সার হতে চান। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জোবায়ের ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url

Md.Jobayer Hossain
Md.Jobayer Hossain
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট এবং নিয়মিত ব্লগ আপলোডের মাধ্যমে মানুষকে অনলাইন ইনকাম, লাইফ স্টাইল ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে। এতে করে লোকেরা নতুন নতুন আইডিয়া, অনলাইন ক্যারিয়ার গাইড লাইন ও আধুনিক জীবনের নানা টিপস জানতে পারে।