কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন
আপনারা কি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন? কিন্তু কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন বুঝতে পারছেন না। তাদের জন্য আমার আজকের এই ব্লগটি। আজকের এই ব্লগে দেখানো হবে, কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেটির এ টু জেড প্রসেস। বর্তমান সময়ে ব্লগিং একটি জনপ্রিয় পেশা। আমরা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করি মূলত সেখানে ব্লগ লিখে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য। ওয়েবসাইট তৈরি থেকে শুরু করে আডসেন্স অ্যাপ্রুভ করার বিভিন্ন ট্রিকস সম্পর্কে আলোচনা করব আজকের ব্লগে।
![]() |
- ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরির কারণ
- ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
- ওয়েবসাইটের জন্য থিম কাষ্টমাইজেশন
- ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার উপায়
- আর্টিকেলের ভিতরে ফিচার ইমেজ তৈরির উপায়
- আর্টিকেল গুগলে রাঙ্ক করানোর জন্য এসইও
- গুগল সার্চ কনসোল ও এনালিটিক্স সেটআপ
- ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাধারণ ভুল ও সমাধান
- ব্লগ মনিটাইজেশন ও গুগল এডসেন্স সেটআপ
- লেখকের মন্তব্য
ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরির কারণ
কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, সেটি জানার আগে আমাদের জানতে হবে ব্লগ
ওয়েবসাইট কি এবং কি কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান সময়ে ব্লগিং খুবই জনপ্রিয় পেশা।
ব্লগিং করে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাই আমাদের দেশের তরুণ সমাজ এখন
ব্লগিং পেশার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। ব্লগিং করে যেমন টাকা ইনকাম করা যায় তেমন
জনপ্রিয়তাও পাওয়া যায়। বর্তমানে ফেসবুক ব্লগিং ও ইউটিউব ব্লগিং বেশ জনপ্রিয়।
তবে অনেকেই আছে যারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান। কিন্তু
জানেন না যে কিভাবে, একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়।
কারণ ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইট তৈরি করা এতটা সহজ না। ফেসবুক এবং ইউটিউবে
জিমেল ও সামান্য কিছু ফরম পূরণ করলে একটি একাউন্ট খোলা যায়। তবে ব্লগ ওয়েবসাইট
সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে সামান্য কিছু স্কিলের উপর
বেসিক ধারণা থাকতে হয়। তারপর ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ব্লগ লিখে এডসেন্স
অ্যাপ্রুভ নিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটি হলো একটি
ডোমেইন। আমরা যারা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই, তাদের অবশ্যই ডোমেইড সম্পর্কে
ধারণা রয়েছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডোমেইন হলো আপনার ওয়েবসাইটের নাম। আপনি যদি
অফলাইনে দোকান দিয়ে কোন বিজনেস করতে চান, তাহলে তো দোকানের একটি নাম দিতে হবে
তাই না। তেমনি গুগলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, সেখানেও তার নামের প্রয়োজন
আছে। এখন প্রশ্ন ডোমেইন কিনতে কত টাকা খরচ হয় ও কোথায় থেকে কিনবো?
ইন্টারন্যাশনাল অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ডোমেইন বিক্রি করে থাকে। তাদের মধ্যে
একটি কোম্পানির নাম হলো নেমচিপ। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এই কোম্পানিগুলো থেকে
ডোমেইন কিনতে গেলে আপনার প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট ও ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। যা
আমাদের অনেকেরই নেই। এখন আমাদের উপায় কি? কোন চিন্তা নেই, বাংলাদেশী অনেক থার্ড
পার্টি কোম্পানি রয়েছে যার ডোমেইন বিক্রি করে। তাদের কাছ থেকে আপনি ডোমেইন ক্রয়
করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে কিনলে আপনার হয়তো ২০০০ টাকার মতো খরচ হবে। আর
ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে কিনলে ১৩ ডলারের মত খরচ হবে। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন। তাছাড়া ইউটিউবে ডোমেইন কিনার অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও পেয়ে যাবেন এবং
ডোমেইন ওয়েব সাইটে সেট করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটের জন্য থিম কাষ্টমাইজেশন
থিম কাস্টমাইজেশন সম্পর্কে জানতে হলে, প্রথমে জানতে হবে থিম কি? সহজ ভাষায় বলতে
গেলে থিম হলো আপনার ওয়েবসাইটের চেহারা বা সাজসজ্জা। থিম বলতে ওয়েবসাইটের ব্লগের
ডিজাইন বা লুক কে বোঝায়। তাই আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য থিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ
একটি জিনিস। যেমন ধরুন আপনি ব্লগ লিখছেন কেউ প্রযুক্তি নিয়ে, কেউ ভ্রমণ নিয়ে,
কেউ ফ্যাশন নিয়ে আবার কেউ রান্নাবান্না নিয়ে। প্রতিটি ব্লগের ধরন অনুযায়ী
আলাদা থিম ব্যবহার করতে হয়। যাতে পাঠক ঢুকেই বুঝতে পারে এটি কোন বিষয় নিয়ে
লেখালেখি করা ওয়েবসাইটইট। থিম ফ্রিতেও ব্যবহার করা যায় আবার টাকা দিয়ে কি
ব্যবহার করা যায়।
তবে আমার সাজেশন হলো আপনার ভাইরাল কোন থিম ব্যবহার করা উচিত। কারণ ভাইরাল থিম
ব্যবহার করলে সেই থিম দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও পেয়ে যাবেন। যার ফলে থিম কাস্টমাইজেশন
করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। সুন্দর করে যদি, থিম কাস্টমাইজেশন করতে পারেন
তাহলে ওয়েবসাইটের ভিতরে পাঠক বেশি পাওয়া যাবে। তাই ব্লক ওয়েবসাইট তৈরি করার
জন্য ও ভিজিটর পাওয়ার জন্য থিম কাস্টমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ।
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার উপায়
আপনি গুগলে ব্লগার লিখে সার্চ করার পর জিমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি ব্লগ
ওয়েবসাইট তৈরি করলেন তারপর ডোমেইন কিনে ওয়েবসাইটে সেটআপ করলেন এবং থিম
কাস্টমাইজেশনও করলেন। এখন আপনার ওয়েবসাইট ব্লক লেখার জন্য সম্পন্ন তৈরি। এখন
প্রশ্ন ব্লগ লিখবো কিভাবে? ওয়েব সাইটে ব্লগ লেখার জন্য আপনাকে একটি নিস সিলেক্ট
করতে হবে। নিস হলো সেই টপিক যে টপিকের উপরে আপনি আর্টিকেল লিখবেন। তারপর আপনাকে
কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে। কিওয়ার্ড হলো সেই জিনিস যা লিখে মানুষ সার্চ
ইঞ্জিনে সার্চ করে।
আরো পড়ুনঃ নওগাঁ জেলার সেরা ফ্রিল্যান্সার
কিওয়ার্ড খুঁজে বের করার পর এবার আপনাকে সেই কিওয়ার্ডের উপর লেখালেখি করতে হবে।
মোটামুটি এক হাজার ওয়ার্ডের আর্টিকেল লিখতে হবে। আর্টিকেল লেখার পর ব্লগার এ
পাবলিশ করতে হবে তারপর আপনার আর্টিকেলে ট্রাফিক আসা শুরু করবে অর্থাৎ ভিউ হওয়া
শুরু করবে। ভিউ হওয়া শুরু করলে সেই ভিউ বাড়ানোর জন্য আপনাকে আরও বেশি আর্টিকেল
লিখতে হবে। এভাবে কিছুদিন আর্টিকেল লিখলে ওয়েবসাইটে মোটামুটি রিচ বাড়া শুরু
করবে।
আর্টিকেলের ভিতরে ফিচার ইমেজ তৈরির উপায়
আপনারা হেডিং দেখে বলতে পারেন, ফিচার ইমেজ জিনিসটা আবার কি? ফিচার ইমেজ হলো
আর্টিকেলের ভিতরে যে বিষয়ে লেখালেখি করবেন সে বিষয অনুপাতে একটি ছবি রাখা। যাতে
পাঠক বুঝতে পারে আপনি প্রফেশনাল মানের একজন আর্টিকেল রাইটার। এতে ওয়েবসাইটে
ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা দিগুন বেড়ে যায়। ফিচার ইমেজ দিলে আর্টিকেল দেখতে আরো
প্রফেশনাল মানের মনে হয়। কিন্তু এই ফিচারে বেশ তৈরির জন্য প্রয়োজন বেসিক
গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল।
চিন্তা করার কিছু নেই, ফিচার ইমেজ তৈরির জন্য হালকা পাতলা ক্যানভা চালানো জানলেই
হবে। আর আমরা যারা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবো তারা তো অবশ্যই ক্যানভা সম্পর্কে
ধারণা রাখেন। ফিচার ইমেজ তৈরি জন্য নির্দিষ্ট একটা সাইজ অনুপাতে হালকা ডিজাইন করে
দিলেই চলবে। এতে করে আপনার আর্টিকেল দেখতে প্রফেশনাল মানের মনে হবে। তাই আর্টিকেল
এর ভিতরে ফিচার ইমেজ তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
আর্টিকেল গুগলে রাঙ্ক করানোর জন্য এসইও
এসইও অর্থ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আমাদের যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে,
সেখানে ব্লগ লিখে গুগলের প্রথম পেজে আনার জন্য এসইও করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ
যদি আমাদের ব্লগ গুগলের প্রথম পেজের দিকে না থাকে তাহলে আমরা ওয়েবসাইটে বেশি
ভিজিটর পাব না। আর ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর না পেলে আমাদের ইনকাম হবে না। তাই
আমাদের ওয়েবসাইটের ব্লগ গুগলের রাঙ্ক করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। তাই
চলুন এসইও সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
আমরা কোন একটি কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে ব্লক লিখলাম। তারপর সেই কিওয়ার্ড লিখে
মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করল। এখন আমরা চাইবো আমার ওই ব্লকটা যেন সবার আগে
পাঠকের সামনে আসে অর্থাৎ গুগলের প্রথম পেজের প্রথম ব্লকটি যেন আমার নিজের লেখা
ব্লগটি হয়। এটা করার জন্য আপনাকে গুগলের সকল অ্যালগরিদম মেনে ব্লকটি লিখতে হবে।
যাতে গুগল ব্লগটি দেখার পর সন্তুষ্ট হয় এবং আপনাকে গুগলের প্রথম পেজে জায়গা করে
দেয়। সেটা করার জন্য আপনাকে এক্সট্রিম লেভেলের এসিও জানতে হবে।
গুগল সার্চ কনসোল ও এনালিটিক্স সেটআপ
কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এবং সেখানে সার্চ কনসোল সেটাপ করবেন এটি
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুরুতে জেনে নেওয়া যাক গুগল সার্চ কনসোল জিনিসটা কি?
গুগল সার্চ কনসোল সেই জিনিস যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের সবকিছু ট্র্যাক করতে
পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে দিনে কতটা ভিউ হলো, আপনার ওয়েবসাইটে কি রকম ক্লিক
পড়লো এবং ওয়েবসাইটের কোন কোন আর্টিকেল গুগলের কাছে ইন্ডেক্স হলো অর্থাৎ গুগল
তার লিস্টের মধ্যে জায়গা দিল। সেগুলো ট্র্যাক করার জন্য গুগল সার্চ কনসোলে
ওয়েবসাইটকে পাবলিশ করতে হবে।
গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইটকে পাবলিশ করার জন্য কয়েকটা ধাপ পার করতে হয়। তার
মধ্যে থেকে প্রথম ধাপ হলো ওয়েবসাইটের থিম এর মধ্যে গুগল সার্চ কনসোলের কোড
বসানো। গুগল সার্চ কনসোলে গিয়ে, যে জিমেইল দিয়ে ব্লগার একাউন্ট খোলা আছে, সেই
জিমেইল দিয়ে সার্চ কনসোলে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের
ওয়েবসাইটের সম্পন্ন ডিটেইলস ভালোভাবে ট্যাক করতে পারবো।
ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাধারণ ভুল ও সমাধান
কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, সে সম্পর্কে আমরা এতক্ষন জানলাম। এখন
আমরা জানবো, ব্লক ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সাধারণ কিছু ভুল। যে ভুলগুলো আপনার
মনিটাইজেশন পেতে ঝামেলা করবে। সেরকম কিছু সাধারণ ভুল ও এর সমাধান নিয়ে এখন
আলোচনা করা হবে। কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেই পর্বের প্রথম ভুল হলো,
সঠিক নিস ও টপিক বেছে না নেওয়া। অনেকেই ব্লক শুরু করেন কিন্তু কি বিষয়ে লিখবেন
তা ঠিকভাবে নির্ধারণ করেন না। যা একটি মারাত্মক ভুল। তাই এমন একটি বিষয় বেছে নিন
যেটা আপনি জানেন, ভালোবাসেন এবং পাঠকও আগ্রহী। আপনার দ্বিতীয় ভুলটি হলো,
বিনামূল্যে ডোমেইন ব্যবহার করা। বর্তমানে গুগল তার অ্যালগরিদম এর নতুন আপডেটে
স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে ফ্রি ডোমেইন ব্যবহার করলে এডসেন্স দেওয়া হবে না। তাই
পারলে একটি ডট কম ডোমেন ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ
কম্পিউটারের বেসিক শেখার উপায়
কীভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, সে পর্বের তৃতীয় নাম্বার ভুল হলো থিম
কাস্টমাইজেশন ও ডিজাইনের পিছনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা। অনেক নতুন ব্লগার ডিজাইন
পাল্টাতে গিয়ে মূল কনটেন্টে মনোযোগ হারান। শুরুতে একটি সরল ও রেস্পন্সিভ থিম
ব্যবহার করন, পরে প্রয়োজন অনুযায়ী তা চেঞ্জ করতে পারবেন। কীভাবে একটি ব্লগ
ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, সে পর্বের চতুর্থ নাম্বার ভুল হলো কনটেন্ট কপি করা অর্থাৎ
অন্যের কনটেন্ট কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা। অন্যের লেখা কনটেন্ট কপি
পেস্ট করলে এসিও নষ্ট হয় ও সাইটে শাস্তি আসে। তাই সব সময় নিজের ভাষায় ইউনিক ও
মূল্যবান কনটেন্ট লিখুন। প্রথম অবস্থায় কন্টেন্ট রাইটিং করতে গেলে এসব ভুল হবেই।
তাই বিব্রত না হয়ে নিয়মিত কন্টেন্ট লিখুন।
ব্লগ মনিটাইজেশন ও গুগল এডসেন্স সেটআপ
ব্লগ মনিটাইজেশন মানে হলো আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখে সেখান থেকে আয় করা। যখন
আপনার ব্লগে নিয়মিত ভিজিটর আসবে তখন বিভিন্ন পায়ে আপনি আয় করতে পারবেন। তার
মধ্যে থেকে একটি হলো ব্লগ মনিটাইজেশন। এই মনিটাইজেশন দুই ধরনের হয়ে থাকে প্রথমটি
হলো গুগল এডসেন্স অর্থাৎ গুগল সরাসরি ওয়েব সাইটে অ্যাড প্রচার করবে। আর দ্বিতীয়
যেটি রয়েছে সেটি হলো আ্যাডেস্ট্রা অর্থাৎ এটি একটি এড কোম্পানি যেখান থেকে এড
নিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে সেটআপ করতে পারবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হলো দুইটার মধ্যে ভালো কোনটা? অবশ্যই গুগলের টা বেশি ভালো। কিন্তু
গুগল থেকে এডসেন্স পেতে গেলে প্রতিদিন আপনার ওয়েবসাইটে ১০০ টার বেশি ক্লিক থাকতে
হবে। যা প্রথম অবস্থায় অসম্ভব। তাই প্রথম অবস্থায় অ্যাড্রেসটা থেকে ইনকাম করুন
এবং ধীরে ধীরে যখন ওয়েবসাইটের রিচ বাড়বে তখন গুগল এডসেন্সের জন্য আপ্লাই করুন।
গুগল আডেস্ট্রাতে একাউন্ট করার জন্য ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও পেয়ে যাবেন
এবং কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে এড বসাবেন সে সম্পর্কে অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও পেয়ে
যাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য
বর্তমান সময়ে নিজের ব্লগ ওয়েবসাইট থাকা শুধু একটি শখ নয়, এটি হতে পারে আপনার
জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার ও অনলাইনে আয় করার দারুন সুযোগ। এই লেখায় আমি সহজ ভাষায়
ধাপে ধাপে দেখিয়েছি কিভাবে একদম নতুনরাও নিজের ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আশা করি গাইড লাইনটি অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই নিজের ব্লগ শুরু করতে পারবেন এবং
অনলাইনে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে পারবেন।
ব্লগ ওয়েবসাইট দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। তার মধ্যে শুধুমাত্র একটি
উপায় এর কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো। যদি আরও এরকম ভালো মানের কন্টেন্ট
পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। কারণ এই ব্লক ওয়েবসাইটে নানা রকম
অনলাইন ইনকাম ও লাইফ স্টাইল নিয়ে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়।



জোবায়ের ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url